রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
সিএনজিতে গন-ধর্ষণ প্রেমিক সহ আটক দুই জন
মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার অভিযানে সিএনজিতে গণধর্ষণ মামলার ২ জন আসামিকে আটক ও ব্যবহৃত সিএনজি উদ্ধার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
সিএমপি মিডিয়া সুত্রে জানা গেছ, ডবলমুরিং থানা এলাকায় সিএনজি ড্রাইভার আক্তার তার চালিত সিএনজিত করে সাগর (১৯) নামের এক ছেলে ও সাগরের বান্ধবীকে নিয়ে সাগরপাড়ে ঘুরতে যাবার কথা বলে গাড়িতে তোলে,
সিএনজির ড্রাইভার এবং
সাগর পরস্পর পূর্ব পরিচিত। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৭ টার পরে ইপিজেড এলাকার নির্জন রাস্তায় ভিকটিমের সাথে সিএনজির মধ্যে চলন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সাগর। পরবর্তীতে ড্রাইভার আক্তার সেই নির্জন স্থানে সিএনজি থামিয়ে আসামি সাগর ও ভিকটিমকে মারধর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমের সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে পুনরায় ভিকটিমকে ডবলমুরিং এলাকায় নামিয়ে দিয়ে যায়।
থানায় অভিযোগ দেওয়ার সাথে সাথে উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান এর নির্দেশনায়, এডিসি (পশ্চিম) স্পিনা রানী প্রামাণিকের তত্ত্বাবধানে এবং এসি (ডবলমুরিং জোন) সব্যসাচী মজুমদারের নেতৃত্বে বিশেষ আভিযানিক টিম তৈরি করা হয়।
ডবলমুরিং থানার বিশেষ অভিযান টিম আসামির অনুসন্ধানে তৎক্ষণাৎ বের হয়, আসামিরা ঘটনার প্রেক্ষাপটে ও পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে রাস্তার মাঝে ডবলমুরিং এলাকার মিস্ত্রীপাড়া লাল মসজিদের পাশে সিএনজিটি রেখে পালিয়ে যায়। ডবলমুরিং থানার আভিযানিক টিম প্রথমে সিএনজিটি উদ্ধার করে। এরপর প্রথমে অভিযান চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি সাগরকে ডবলমুরিং এলাকা থেকে আটক করে।
সিএনজিচালক মোঃ আক্তার তখন বন্দরটিলা এলাকায় পালিয়ে আছে মর্মে তথ্য সংগ্রহ করে টিম ডবলমুরিং বন্দরটিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি ভোলায় পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানার কয়েকটি আভিযানিক টিম বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
টিমগুলো যথাক্রমে বড়পোল, অলংকার, একে খান এবং ভাটিয়ারিতে বিভিন্ন বাসে তল্লাশি চালাতে থাকে। রাত দুইটার সময় বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার সময় হালিশহরের বড় পোল বাসস্ট্যান্ড থেকে আসামি মোঃ আক্তারকে আটক করে টিম ডবলমুরিং।